বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার ১২২৩ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত শ্রীমঙ্গল শাখার নির্বাচন বানচালের অভিযোগ ও নির্বাচন বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পার্থী ও সাধারণ শ্রমিক।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। ১২২৩ এর শ্রীমঙ্গল শাখা শ্রমিক ইউনিয়নের পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু কামাল খায়রুজ্জামান কামাল।
লিখিত বক্তব্য কামাল বলেন, ১৮ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল শাখার নির্বাচন ২০২০ অনুষ্টিত হয়। সকাল সাড়ে৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটগ্রহন চলে। শান্তিপূর্নভাবে ভোট প্রয়োগ করেন শ্রীমঙ্গল ১২২৩ এর ভোটাররা। নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা ১২২৩ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলু আহমেদ, এবং নির্বাচনী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা ১২২৩ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ছিলেন মামুনুর রশীদ মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে কামাল বলেন, ১২২৩ এর অন্তর্ভূক্ত কুলাউড়ায় শাখার নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর থেকে নির্বাচন কমিশন তাদের ইচ্ছেমতো ভোটার তালিকা সংশোধন করা ও একি ভোটারকে একাধিকবার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করাসহ ১৮ নভেম্বরের ভোটের ফলাফল রাত আড়াইটায় আংশিক ঘোষনা করা, শ্রমিক নয় এমন লোকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা,কমিশনের মর্জিমত বেসরকারি প্রিজাইডিং ফিসার দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা, প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করতে না দেওয়া,এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষর ছাড়া প্রহসনের ফলাফল ঘোষনা করার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, রাত আড়াইটায় যখন নির্বাচন কমিশনার কতৃক ফলাফল ঘোষনা করা হয়, তখন এই ফলাফল পত্যাখান করে পরাজিত পার্থীরা নির্বাচন কমিশনারের নিকট পূনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন। তখন নির্বাচন কমিশনার পূণরায় ভোট গণনা করতে অনিহা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সাধারণ শ্রমিকরা রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা নির্বাচন কমিশনারকে ভোট কেন্দ্রে অবরোদ্ধ করে রাখেন।
পরে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এসে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করে নির্বাচন কমিশনার, ভ্যালট বাক্স সহ ক্ষুব্ধ শ্রমিক ও প্রার্থীদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে পার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যালট বাক্স সিলগালা ও জব্ধ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের এই কার্যকলাপে সাধারণ শ্রমিক ও পার্থীরা ১৮ নভেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নিরপক্ষ কমিশনের মাধ্যমে পূণনির্বাচনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ১৮নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেওয়া পরাজিত সকল প্রার্থী ও অন্যান্য শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।